Site icon Jamuna Television

ইতিহাসের সর্বনিম্ন দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা চামড়া

ইতিহাসের সর্বনিম্ন দরে বেচাকেনা হচ্ছে কাঁচা চামড়া। বড় আকারের চামড়া বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪শ’ টাকা। সাথে খাসির চামড়া ফ্রি দিচ্ছেন অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে কাঁচা চামড়ার দাম কমানো হচ্ছে। অন্যদিকে আড়তদাররা বলছেন, চামড়া কেনার পুঁজি-ই নেই তাদের আর ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মার খাচ্ছেন তারা।

সকাল থেকে চামড়া নিয়ে পোস্তায় শুধু ঘুরছেন চামড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শামীম। কিন্তু কেউ চামড়া কিনছে না। ঈদের দিন কয়েক পিস বিক্রি করেছেন। কিন্তু পরের দিন সাড়াই দিচ্ছে না কোনো আড়ত মালিক।

ঈদের পরদিন সব মৌসুমী ব্যবসায়ীর অভিজ্ঞতা একই। সাধারণত রাজধানীর পোস্তায় কোরবানির ঈদে গড়ে ৬ লাখ চামড়া বেচাকেনা হয়। কিন্তু এবার দৃশ্য উল্টো। মূল সড়কে চামড়া ভর্তি ট্রাকের সারি লম্বা হচ্ছে। কিন্তু তা কেনার কেউ নেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৬ বছর ধরে কোরবানির চামড়ার দাম প্রতিনিয়ত কমছে। ২০১৪ সালে একটি গরুর চামড়ার পিস বিক্রি হয় দেড় হাজার টাকায়। খাসির পিস ছিলো ১২০ টাকা। পরের দুই বছরে গরুর চামড়ার দাম নেমে আসে হাজারের আশপাশে। ২০১৭-তে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর শুরু হলে বাজার আরো নিম্নমুখী হয়।

ট্যানারি মালিকরা বলছেন, বিদেশি বাজারে কাপড় ও আর্টিফিশিয়াল লেদারের কদর বাড়ায় চামড়ার দাম মিলছে না।

ব্যবসায়ীরা বলছে, এভাবে চললে কয়েক বছরের মধ্যে দেশীয় চামড়ার বাজার দখল করে নেবে বিদেশিরা।

Exit mobile version