Site icon Jamuna Television

হংকং নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি উস্কানির অভিযোগ

হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভ-আন্দোলনে হস্তক্ষেপ এবং উস্কানির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে উত্তপ্ত চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক।

একদিকে ওয়াশিংটন বলছে, ধড়পাকড় চালিয়ে হংকংয়ের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখছে বেইজিং।

অন্যদিকে বেইজিংয়ের অভিযোগ, বিক্ষোভে উস্কানি দিয়ে হংকংয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় মার্কিন প্রশাসন।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, হংকংয়ের চলমান পরিস্থিতিতে স্বার্থ আছে দু’পক্ষেরই।

প্রত্যর্পণ বিল বাতিল ও প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগের দাবিতে গেল আড়াই মাস যাবত তীব্র আন্দোলনে উত্তাল চীনা স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল হংকং।

আর এতে প্রশাসনিক দফতর, প্রধান সড়ক আর বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব স্থাপনা অবরুদ্ধ। চলছে ভাঙচুরও।

হংকং পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। তবে বিক্ষোভকারীদের ওপর ধড়পাকর আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে শুরু থেকে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। হংকং পরিস্থিতির জন্য চীনকেই দায়ী করে যাচ্ছে এসব দেশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিঘ্ন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে চীনের সহায়তার সেখানে যেভাবে ধরপাকড় চলছে তাতে শঙ্কিত আমরা। যুক্তরাষ্ট্র চায় হংকংয়ে চীনের যে হস্তক্ষেপ তা বন্ধ হোক। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনি বিক্ষোভকারীদের সাথে আলোচনায় বসে তাদের বক্তব্য শুনুন।

তবে পাল্টা অভিযোগে চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর উস্কানিতেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে আন্দোলনকারীরা। হংকং পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুশিয়ারীও চীনের।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং বলেন, হাতে গোনা কয়েকজন দিয়ে পুরো হংকংয়ের চিত্র বিচার করলে ভুল হবে। এক দেশ নীতিতে চলছে চীন। এর অর্থ হলো হংকং চীনেরই অংশ। এবং আমাদের আহ্বান থাকবে, কোনো বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র এই নীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না।

যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, হংকংয়ের চলমান আন্দোলনে স্বার্থ রয়েছে দু’পক্ষেরই।

জার্মানির রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিখাইল বর্খম্যান বলছেন, চীন কখনোই অন্যকারও হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না হংকংয়ে। আবার যুক্তরাষ্ট্রও এখানে সক্রিয়। সেটা পশ্চিমা গণমাধ্যমের আচরণ দেখলেই বুঝতে পারবেন। আসলে হংকং নিয়ে স্বার্থ সবারই আছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ-সহিংসতার দায়ে গত এক সপ্তাহেই অঞ্চলটিতে আটক হয়েছে প্রায় ৮ শ মানুষ। এদের মধ্যে অন্তত একশজনের বিচার শুরু হয়েছে।

Exit mobile version