Site icon Jamuna Television

হাতিয়ায় ধান সংগ্রহ অভিযানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ধান সংগ্রহ অভিযানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী চাষিরা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ধান কেনা হয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এজন্য ক্রয় কমিটির সভাপতিকে দুষছেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা।

এরআগে, বোরো মৌসুমে দেড় লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য অধিদপ্তর। ২৫ এপ্রিল থেকে প্রতিকেজি ধান ২৬ টাকা দরে কেনার কথা। কিন্তু সংগ্রহ কার্যক্রম দেরিতে শুরু হওয়ায় ধস নামে বাজারে। প্রতিবাদে অনেক জায়গায় কৃষকের বিক্ষোভ এমনকি শষ্য পোড়ানোর ঘটনার দেখা মেলে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় আড়াই লাখ টন বেশি ধান সংগ্রহের ঘোষণা দেয় সরকার। মাঠ পর্যায়ে সরাসারি চাষির কাছ থেকেই এই ধান কেনার কথা। কিন্তু নোয়াখালীর হাতিয়ায় ধান সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

চাষিরা বলছেন, হরনী ও চানন্দি ইউনিয়নে একশ’ ১৬ জন কৃষকের তালিকা করে কৃষি বিভাগ। খোলা হয় তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। কিন্তু ধান কেনা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

এরফলে ধান সংগ্রহে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে কৃষক। মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের সময় তাদের বাঁধা দেয়ার অভিযোগও আছে।

অন্যদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যুক্তি দিচ্ছেন ব্যবসায়িদের পক্ষে। তারা বলছেন, দ্বীপ উপজেলা হওয়ায় সরকারি গুদামে শষ্য বিক্রির আগ্রহ নেই চাষির।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, নেয়াখালী জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এ কে এম আবু সাঈদ চৌধুরী দাবি করেন, ক্রয় কমিটির সভাপতি ইউএনও। কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার নির্দেশনা মানেননি তিনি।

অন্যদিকে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর এ আলম বলছেন, ভৌগলিক কারণে চাষির কাছ থেকে ধান কেনা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত।

Exit mobile version