Site icon Jamuna Television

‘এশিয়ানদের মতো চেহারা’ হয়েছে, তাই নবজাতককে নিতে চান না বাবা-মা!

এক নারীর বয়স ৪৩ হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনবার গর্ভপাত হয়েছে। কোনোভাবেই মা হতে পারছেন না। ডাক্তাররা জানিয়েছে, তার দ্বারা আর মা হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মনকে মানাতে পারছিলেন না।

তাই স্বামীকে রাজি করালেন গর্ভ ভাড়া (সারোগেসি) নিয়ে বাচ্চার মুখ দেখার। তাই হলো। বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে স্বামীর বীর্য জমা দেয়া হলো একটি স্পার্ম ব্যাংকে। এরপর তাদের মাধ্যমে গর্ভ ভাড়া নিয়ে এক পর্যায়ে বাচ্চারও জন্ম হলো। কিন্তু নবজাতকের মুখ দেখেই যেন চক্ষু চড়কগাছ দম্পতির। তারা উভয়ে সাদা চামড়ার মানুষ। কিন্তু বাচ্চা হয়েছে ‘এশিয়ানদের মতো’। চেহারা, চোখ, গায়ের রং কিছুই মিলছে না বাবার সাথে।

সাথে সাথে সারোগেসি সংস্থার সাথে যোগাযোগ করলেন। তত্ত্বাবধানে থাকা ডাক্তার প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানালেন একটা বড় ভুল হয়ে গেছে! তাদের সংস্থায় এমনটি আর কখনও না ঘটলেও এবার ঘটেছে। অন্যের বীর্যের সাথে বদল হয়ে গেছে তাদেরটা!

এরপর নিজের ক্ষোভ ও কষ্টের কথা লিখে সামাজিক মাধ্যম রেডিটে একটি পোস্ট করেন ভুক্তভোগী বাবা। সেখানে তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানান। বলেছেন, এশিয়ানদের নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। জাত-পাত-বর্ণ নিয়ে তিনি মাথা ঘামান না। কিন্তু এই বাচ্চাটিকে তিনি ও তার স্ত্রী মেনে নিতে পারছেন না। কারণ, এটি তো আসলে তাদের সন্তানই নয়।

সারোগেসি সংস্থা ইতোমধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে বলেও তিনি জানান। তবে ওই ব্যক্তি বলেছেন, তিনি বাচ্চাটির ডিএনএ পরীক্ষা করাবেন। এরপর ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিনা সেটা ভাববেন।

এত কিছু জানা গেলেও ওই দম্পতির পরিচয় জানা যায়নি। পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর সেটি সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যবলয়েড ডেইলি মেইল।

Exit mobile version