Site icon Jamuna Television

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

দশাসই আকৃতির এক গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। সেটি ঠেকানোর কোনো উপায় নেই মানুষের কাছে। মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক এমন ভয়ংকর মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, সুন্দর নাম! শুধু এই একটি বিষয় নিয়ে ভাবছি না। একটি বড় পাথর পৃথিবীকে আঘাত করবে এবং আমাদের হাতে কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই। সোমবার এ গ্রহাণুটি নিয়ে টুইট করেন মাস্ক।

যেটিকে সুন্দর নাম বলছেন এলন মাস্ক সেই নামটি হচ্ছে-অ্যাপোপহিস। প্রাচীন মিসরীয়রা বিশৃঙ্খলার দেবতা মনে করতো অ্যাপোপহিসকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৯ হাজার মাইল দূর দিয়ে যাবে এ গ্রহাণুটি। এক হাজার ১০০ ফুট প্রশস্ত গ্রহাণুটির কারণে পৃথিবীতে ক্ষতির আশঙ্কা কম। তবে, জ্যোতির্বিদ ডেভিড ফারনোচিয়া বলেন, গ্রহাণুর প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে ছোট বরফধসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কেউ কেউ সুনামির শঙ্কাও করছেন।

পৃথিবীর কাছ দিয়ে এত বড় আকারের গ্রহাণু অতিক্রম করার ঘটনা দুর্লভ। একই দূরত্ব দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিটার আকারের গ্রহাণু অতিক্রম করার ঘটনা আগেও পর্যবেক্ষণ করেছেন গবেষকেরা। তবে অ্যাপোপহিসের সমান আকারের গ্রহাণু সচরাচর পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করে না। দক্ষিণ গোলার্ধে রাতের আকাশে খালি চোখে আলোর গোলকের মতো দেখা যাবে গ্রহাণুটিকে।

এদিকে, আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল আকাশজুড়ে উজ্জ্বল আলো জ্বলে উঠবে। এখন ধীরে ধীরে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। একপর্যায়ে এটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দেখা যাবে।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক মেরিনা ব্রজোভিক বলেন, ২০২৯ সালে পৃথিবীর সন্নিকটে গ্রহাণু চলে আসার ঘটনা বিজ্ঞানের জন্য দারুণ একটি সুযোগ। অপটিক্যাল ও রাডার টেলিস্কোপ দিয়ে এটি পর্যালোচনা করা হবে। আমরা এর পৃষ্ঠদেশ পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাব।

Exit mobile version