Site icon Jamuna Television

নাসায় যাওয়ার সুযোগ পেল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী

ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা অনেক বড় অভিনন্দা ঘোষের। দেশ-বিদেশ ছাড়িয়ে মহাকাশে যাওয়ার ইচ্ছে তার।কিশোরী অবস্থায়ই যে সে স্বপ্নের এত কাছিকাছি চলে যাওয়া যাবে সেটি কী বুঝতে পেরেছিলেন? ভারতের পুরুলিয়ার কিশোরী অভিনন্দা ঘোষের হাতে যেন চাঁদ এসে হাজির। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে সফল হয়ে নাসায় পাড়ি দেয়ার সুযোগ পেল নবম শ্রেণির এই ছাত্রী। তার প্রতিক্রিয়াতেই বুঝা যায় কতটা উচ্ছ্বসিত সে, খবরটা পাওয়ার পর আনন্দে কিছুক্ষণ কথাই বলতে পারিনি। নাসায় যাওয়ার স্বপ্ন এত দ্রুত সফল হবে ভাবতেই পারছিলাম না।

তেলকলপাড়ার বাসিন্দা অভিনন্দা পুরুলিয়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে। বাবা সজল ঘোষ ও মা সুস্মিতা রায় চৌধুরী শহরের দুটি স্কুলে ইংরেজি পড়ান। তার বাবা-মা জানান, ছোট থেকে পড়াশোনাই অভিনন্দার ধ্যানজ্ঞান। চতুর্থ শ্রেণি থেকে প্রতি বছর অলিম্পিয়াডে বসছে। আলাদাভাবে কোনো প্রশিক্ষণ নেয়নি।

অভিনন্দা বলে, পরীক্ষা নিয়ে এখন আর ভয়ডর করে না। বরং পরীক্ষাটা উপভোগই করছি। অল্প সময়ে অনেক উত্তরের মধ্যে থেকে ঠিকটা বেছে নিতে হয়েছিল পরীক্ষায়। আর প্রস্তুতিতে যাবতীয় সাহায্য করেছেন স্কুলের শিক্ষকরাই।

কৃতী ছাত্রী হিসেবে স্কুলে নামডাক রয়েছে অভিনন্দার। গত নভেম্বরে দিল্লির বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে স্কুল স্তরের পরীক্ষায় বসেছিল সে। সফল হয়ে সেখান থেকে রাজ্যস্তরে। আগস্টের গোড়ায় দিল্লির ইসলামিক কালচার সেন্টারে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষাটি হয়।

অভিনন্দার স্কুলের শিক্ষক তথা ওই বেসরকারি সংস্থার পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর সুদীপচন্দ্র দাস জানান, সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় প্রায় ১৮ লাখ প্রতিযোগী ছিল। সফলদের শিক্ষামূলক ভ্রমণে আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) ‘কেনেডি স্পেস সেন্টারে’ নিয়ে যাবে সংস্থাটি।

দলে সুযোগ পেয়েছে অভিনন্দা। স্বাধীনতা দিবসে সংস্থার পক্ষ থেকে স্কুলে ফোন করে সেই খবর দেয়া হয়। তবে কবে রওনা হতে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। তবে, অভিনন্দা দেখিয়ে দিয়েছেন স্বপ্নের পেছনে ছুটলে সাফল্য আসবেই।

Exit mobile version