খাবার অর্ডার করেও অভুক্ত বুম্বাদা, ক্ষোভ প্রকাশ করে হচ্ছেন ‘ট্রোলড’

|

ছবি: সংগৃহীত

খাবার অর্ডার করলেও অভুক্ত থাকতে হলো কলকাতার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে! হ্যাঁ, এক অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন বুম্বাদা হিসেবে খ্যাত এই অভিনেতা। খাবার ডেলিভারি হয়ে গিয়েছে এমনটা অ্যাপ দেখালেও খাবার এসে পৌঁছায়নি অভিনেতার হাতে।

স্বভাবতই যথেষ্ট বিরক্ত হন অভিনেতা, সেই ফুড ডেলিভারি সংস্থার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি খোলা চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে। এতে উল্টো নিজেই জনগণের হাসির পাত্র হয়ে যান তিনি। নেটিজেনদের খোঁচার মুখেও পড়তে হয় তাকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখে ওই চিঠিতে বুম্বাদা লিখেছেন, গত ৩ নভেম্বর তিনি ‘সুইগি’ অ্যাপে খাবার অর্ডার করেছিলেন। কিছুসময় পরে অ্যাপে বার্তা আসে, খাবার এসে গিয়েছে। কিন্তু অর্ডার করা খাবার তার হাতে পৌঁছায়নি। পরবর্তী সময়ে অ্যাপের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালে খাবারের মূল্য ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু প্রসেনজিৎ প্রশ্ন তুলেছেন হয়রানি নিয়ে। তার বক্তব্য, যদি কেউ অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এই ধরণের অ্যাপের উপর ভরসা করে থাকে কিংবা রাতের খাবার অর্ডার হয়, এবং তারপর এই পরিস্থিতির শিকার হতে হয় তাহলে কী মানুষ অভুক্ত থাকবে? আগামীতে এই ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির প্রতিকার কীভাবে করা যায়, তার জন্যই প্রসেনজিতের এই চিঠি।

অভিনেতার যুক্তিযুক্ত বক্তব্যের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। কিন্তু নেটিজেনদের একটা বড় অংশ এই বিষয় নিয়ে ট্রোল করতে ছাড়লেন না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। কেউ খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, আপনি রাষ্ট্রপতিকে কেন অব্যাহতি দিলেন? দয়া করে ওনাকেও ট্যাগ করুন। কেউ আরও একধাপ এগিয়ে লিখেছেন, আপনার তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও ট্যাগ করা উচিত ছিল।

আরেকজন প্রশ্ন করেছেন, ২০২১-এ ভারত গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে কতো নাম্বার স্থানে আছে জানেন? আর আপনার ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যাওয়ার মতো অবস্থা।

অভিনেতা স্পষ্ট কথা অ্যাপের প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই তার। তবে ওষুধ, খাবারের মতো জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অ্যাপ সংস্থাগুলোর একটু বেশি সর্তক হওয়া জরুরি, কিংবা সেই অ্যাপের ওপর প্রয়োজনীয় নজরদারির প্রয়োজন। যাতে আমজনতা সমস্যায় না পড়েন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply