চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত হওয়া সত্ত্বেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। কিন্তু কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রাজশাহীতে অবৈধ মজুদদারি রোধে সভা হয়েছে। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মিলার, আড়তদার সবাই একমত, অবৈধ মজুদদারদের কারণেই চালের দাম বাড়ন্ত। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনায়ও অবৈধ মজুদদার কারা সেটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ মজুদকারীদের রক্তচোষা আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
রাজশাহী বিভাগে ধানের মজুদ প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার ও চালের মজুদ ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন। এতো মজুদ থাকার পরও মানভেদে চালের দাম ৪১ থেকে ৬০ টাকা যা বাড়ছে সপ্তাহের ব্যবধানে।
এসব তথ্য উঠে আসে উত্তরের প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী শহরে অনুষ্ঠিত সোমবারের সভায়। যেখানে প্রশাসন, মিলার, আড়তদার ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, লাইসেন্সবিহীন মজুদ, আড়তদারদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রবণতা এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার।
আড়তদারদের দাবি, পাটজাত বস্তায় সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যয় বেশি হওয়ায় বাড়ছে দাম। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মতে, মিলগেটে ৪ দফায় বাড়ে চালের দাম। চালের দাম বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধাপের সিন্ডিকেট জড়িত।
সব পক্ষের যুক্তি শুনে দিশেহারা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ক্ষোভ ঝাড়লেন উন্মুক্ত সভায়। বললেন, মজুদকারীদের জন্যই চালের দামের এমন ঊর্ধ্বগতি। রক্তচোষা আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশনা দিলেন তিনি।
চালের দাম না কমলে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন নিয়মে চাল আমদানি করার কথাও জানানো হয় সভা থেকে।
/এডব্লিউ
Leave a reply