
পাঠান বাহিনীর অভিযুক্ত কয়েকজন সদস্য।
চাচা-ভাতিজার নামের শেষে আছে পাঠান। অভিযোগ, সেই নামেই গড়েছেন সন্ত্রাসী বাহিনী। কুমিল্লার হোমনার আসাদপুর ইউনিয়ন তৈরি করেছেন ত্রাসের রাজত্ব। হত্যাকাণ্ড-নারী পাচারসহ নানা অপরাধের অভিযোগ বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও সব অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জালাল পাঠান ও তার ভাতিজা মুকবুল পাঠান।
তেবাগিয়া-কলাগাছিয়া এলাকা। মাসখানেক আগে এখানেই খুন হন জহির নামে এক যুবক। রক্তের ছাপ এখনও স্পষ্ট। এলাকাবাসীর দাবি-এটি পাঠান বাহিনীর বর্বরতার চিহ্ন মাত্র। হোমনার আসাদপুর ইউনিয়ে গোটা এলাকাজুড়েই পাঠান বাহিনীর দৌরাত্ম্য। স্থানীয়দের দাবি, বিএনপি নেতা জালাল পাঠানের নামেই পরিচিত তার বাহিনী। প্রধান সহযোগী তারই ভাতিজা মুকবুল পাঠান। চাচা-ভাতিজা মিলে গড়েছেন অপরাধের অভয়ারণ্য। অভিযোগ আছে, প্রভাব খাটিয়ে এবারের নির্বাচনে জিতেছেন জালাল।
২০১৩ সালে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা খুন হন। সেই ঘটনায় প্রথম আলোচনায় আসেন জালাল। ধীরে ধীরে পরিণত হন এলাকার ত্রাসে। অভিযোগ আছে, বশির, সেলিম, ইকবাল, ফরিদসহ আরও বেশ কয়েকজন জড়িত বাহিনীর সাথে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, নারী পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলাও রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে জালাল পাঠান ও মুকবুল পাঠানের বাড়িতে যায় যমুনা টিভি। তবে পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। পরে টেলিফোনে জালাল পাঠান দাবি করেন, এসবের কিছুই জানেন না তিনি।
সবশেষ জহির হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পাঠান বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্যই। পুলিশ বলছে, আসামিরা অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে আছে। তবে এলাকাবাসী চাইছে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত। সেই সাথে যাতে অপরাধীরা আইনের আওতায় আসে সেই প্রত্যাশা তাদের।
এসজেড/



Leave a reply