বৈরী আবহাওয়ায় বাজারে বিরূপ প্রভাব

|

রাজধানীর বাজারে বৈরী আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ছুটির দিনেও ক্রেতাদের আনাগোনা কিছুটা কম। সরবরাহ কমেছে মাছ ও মুরগির। দোকানীরা বলছেন, তৃণমূলের আড়তদাররা তেমন সাড়া দেননি। যার প্রভাব পড়েছে দামে। তবে সবজির দামে নিম্নমুখি প্রবণতা রয়েছে।

সারাদেশে নিম্নচাপের প্রভাব পড়ছে মাছের বাজারে। কমেছে যোগান। জেলেরা সাগর-নদী থেকে পর্যাপ্ত মাছ আহরণ করতে পারছে না। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় আড়ত থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছের সরবরাহ কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দামে-এমন দাবি বিক্রেতাদের।

মানভেদে এক কেজি চিংড়ির জন্য গুণতে হবে ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। শোল, আইড়,বোয়াল মাছের জন্য দিতে ৮০০ থেকে হাজার টাকা। সাড়ে চারশো টাকা কেজির নিচে মিলছে না চাষের রুই-কাতলা।

গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে সবজির বাজারে। বেশ কিছু সব্জি মিলছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। লাউ, পটল, করলা আর তাল বেগুনের দাম কেজিতে কমছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায়, টমেটো আর শসার দামে আছে ঊর্ধ্বগতি।

দিনভর বৃষ্টিতে খামার থেকে মুরগি বের করছেন না খামারীরা। বিঘ্ন ঘটেছে সরবরাহ চেইনে। কাপ্তানবাজারসহ রাজধানীর পাইকারি বাজারে সরবরাহ অর্ধেকে নেমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, দুদিন আগে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ব্রয়লারের জন্য আজ দিতে হবে ১৮০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে গরুর মাংসের। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে মিলছে ৮০০ টাকায়।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply