ঈদের পর ভুতুড়ে অযুহাতে বেড়েছে চালের দাম

|

বিভ্রান্ত করছে চালের বাজার। সবশেষ মৌসুমে বাম্পার ফলন সত্ত্বেও দাম চড়া। ঈদের পর সব ধরনের চালের দর বেড়েছে বস্তাপ্রতি প্রায় ২০০ টাকা। দাম বাড়ার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ভোক্তা। আর ব্যবসায়ীদের অজুহাত, লম্বা ছুটিতে বাজার তদারকি হয়নি। সেই সুযোগে ধান মজুদ করেছে অসাধু চক্র।

চাহিদা কমে যাওয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিম্নমুখী এশিয়ার চালের বাজার। সবচেয়ে বড় রফতানিকারক ভারতে প্রতি টন খুদসহ সেদ্ধ চালের দর নেমে এসেছে ৩৭৮ ডলারে। ডলারের বিপরীতে বাথের বিনিময় মূল্য কমায়, একই প্রবণতা থাইল্যান্ডের বাজারে।

অথচ সবশেষ মৌসুমে বাম্পার ফলনের পরও, উল্টো পথে হাটছে বাংলাদেশ। ঈদের আগে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম ছিল ৭৫ টাকা। এখন সেই চাল কিনতে লাগবে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। কেজিতে ২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে আঠাশ চাল। নাজিরশাইলে হাত দেয়ার জো নেই মধ্যবিত্তের। অথচ, সরবরাহ স্বাভাবিক। আগের মতই কৃষি মার্কেট আর বাবু বাজার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে পিকআপ ভর্তি করে আসছে চাল।

কয়েক বছর আগেও বর্ষা মৌসুমে চাতালে ধান শুকানোর কষ্ট ছিল, তাই দাম বাড়তো। কিন্তু, এখন প্রায় সবই অটো রাইস মিল। ধান মেশিনে দিলে মুহূর্তেই বেড়িয়ে আসছে চাল। এখানে পাক্ষিক উৎপাদন সক্ষমতার ৩ গুণের বেশি মজুদ করার নিয়ম নেই। কিন্তু সে নিয়ম মানছেন না অনেকে। মজুদের অভিযোগ আছে কর্পোরেট বেনিয়াদের বিরুদ্ধেও।

উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সাড়ে ৮ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি করেছে সরকার। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ চাল খালাস হবে মোংলা বন্দরে, বাকি ৬০ শতাংশ আসবে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply