
যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ফাঁকি দিয়ে ভূগর্ভস্ত শক্তিশালী বাঙ্কার ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এর একেকটি বিমানের মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪,৫১৬ কোটি টাকা।
শুধু দামে নয়, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আর কার্যকারিতায়ও অনন্য এই বোমারু বিমান। যা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে এবং সংখ্যায় সেটি ২১ টি তবে ২০০৮ সালে গুয়ামে একটি দুর্ঘটনায় একটি ধ্বংস হয়ে যায়।
বিমানের ডিজাইন:
বিশেষ ধরণের প্রলেপ দিয়ে ঢাকা থাকে বিমানের বাইরের কাঠামো। যা শত্রুর রাডার থেকে ছোড়া তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়। বিশেষ মনোযোগ দেয়া হয়েছে এর ডিজাইনেও। স্টেলথ প্রযুক্তিতে এটি এতোটাই উন্নত যে, বিশাল এই বিমানটি শত্রুপক্ষের রাডারে একটি ছোট পাখির সমান সংকেত প্রদর্শন করে।

বিমানের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য:
এই বিমানের দৈর্ঘ্য ৬৯ ফুট, উচ্চতা ১৭ ফুট এবং এর ডানার বিস্তার ১৭২ ফুট। ওজনের দিক থেকে এটি ৭১ হাজার ৭০০ কেজি, তবে বিভিন্ন ধরণের মিসাইল ও বোমা বহন করে এটি সর্বোচ্চ ১ লাখ ৭০ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজনসহ উড়তে পারে।

বিমানের সক্ষমতা:
বিশেষ এই বিমানটি বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ও বোমা বহন করতে পারে। জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে এটি স্থির লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত হামলার পাশাপাশি একাধিক লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম। একইসঙ্গে এটি সর্বোচ্চ ১৬টি পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে।
তবে, বিমানটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অস্ত্র হলো এর বাঙ্কার বাস্টার বা জিবিইউ-৫৭ বোমা। এর ওজন প্রায় ১৩ হাজার ৬০০ কেজি। বিশাল এই বোমাটি মাটির প্রায় ৬১ মিটার গভীরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।

এদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান টানা প্রায় ৩৭ ঘণ্টা উড়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি, এই হামলায় ছোড়া হয়েছে ছয়টি ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা। তবে ইরান দাবি করেছে, তারা আগেই পারমাণবিক স্থাপনাগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলেছিল।
তথ্যসূত্র আলজাজিরা ও ইউএসএ টুডে।
/এসআইএন



Leave a reply