যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ১০ নিরাপত্তাকর্মী-শ্রমিক আটক

|

যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটককৃতরা।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত ১০ নিরাপত্তাকর্মী ও শ্রমিককে আটক মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানা পুলিশ। পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় চোর সন্দেহ জুলহাস হাওলাদার (৩৫) নামের ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ভোরে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া চৌরাস্তার কাছে পদ্মাসসেতুর প্রকল্প এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জুলহাস পেশায় অটোচালক। সে উপজেলার কুমারভোগ পুর্নবাসনের বাসিন্দা। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অচিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে লৌহজং থানা পুলিশ। আটককৃতদের সবাই পদ্মাসেতু প্রকল্পে নিরাপত্তারক্ষী ও শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতের স্বজনরা জানান, ভোরে জুলহাস কীভাবে বাড়ির পাশের পদ্মা সেতু এলাকায় গেলো তা তারা জানেন না। তাকে আটকে মারধর করা হচ্ছে এ খবর পেয়ে সেখান গিয়ে তারা দেখতে পান জুলহাসকে হাত পা বেঁধে রড দিয়ে পেটাচ্ছে দশ-বারোজন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন জানান, ভোরে জুলহাস বাড়ির পাশে মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করলে প্রহরীরা তাকে চোর সন্দেহে আটক করে। পরে ১০-১২জন মিলে তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা সবাই সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তাকর্মী ও শ্রমিক। নিহতের লাশ শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply