অভিযোগ ছাড়া আটকের প্রতিবাদে অনশনের ১২০ দিন, তীব্র সমালোচনার মুখে ইসরায়েল

|

বিনা অভিযোগে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে ফিলিস্তিন জুড়ে।

ইসরায়েলের নিপীড়নের প্রতিবাদে ১২০ দিন ধরে অনশন করছেন এক ফিলিস্তিনি কারাবন্দী। কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই আটক মিকদাদ আল কাসেমি গত ৪ মাস ধরে অভুক্ত। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউ’তে নেয়া হলেও সেখান থেকে আবার পাঠানো হয় কারাগারে। এ নিয়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে পুরো ফিলিস্তিন জুড়েই।

প্রায় ৪ মাস অনশনের কারণে প্রানপ্রিয় সন্তান লড়ছে মৃত্যুর সাথে, অথচ মায়ের ক্ষমতা নেই তার সাথে এক মুহুর্তের সাক্ষাতের। কারণ সন্তান বন্দী হয়ে আছেন ইসরায়েলি কারাগারে। তাই শুধু হাহাকারই করতে পারেন ইমান বাদের।

অনশনরত মিকদাদ আল কাসেমি’র মা ইমান বাদের আইসিইউতে থাকা ছেলেকে ভিডিও কলে বলছিলেন, আমার সাথে কথা বলো বাবা। একবার আমার কথার উত্তর দাও। মা তোমার পাশে আছে সব সময়।

আইসিইউতে থাকা ছেলে মিকদাদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন তার মা, তিনিও নিশ্চিত নন এরপরে আর কখনও ছেলের দেখা পাবেন কি না।

চলতি বছরের শুরুতে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক হন মিকদাদ আল কাসেমিসহ ৬ ফিলিস্তিনি। বিনা অভিযোগে আটকের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন তারা। তবে দীর্ঘ চার মাসের অনশনে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে রাখা হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।


মিকদাদের মা ইমান বাদের বলেন, অনশনের সময় লবণ পানি ছাড়া আমার ছেলে আর কিছুই খায়নি। তাই ওর স্বাস্থ্যের এই অবনতি। তাকে কিছুদিন হাসপাতালে রাখার পর আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ওর অবস্থা খুবই খারাপ, যেকোনো সময় ওর মৃত্যু হতে পারে। আমার ছেলের বিরূদ্ধে অভিযোগ কি সেটাই আজও পর্যন্ত জানায়নি ইসরায়েলিরা।

ইসরায়েলি কারাগারে অনশনরতদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে গাজা ও পশ্চিম তীরে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার আহ্বান ভুক্তভোগীদের। একজন প্রতিবাদকারী জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষসহ যত রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অনশনরত বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে সক্রিয় হন।

বর্তমানে ৪ হাজার ৭শ ফিলিস্তিনি বন্দি আছেন ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৫শ জন আটক আছেন কোনো অভিযোগ ছাড়াই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply