এ বছরের মে মাসের ২৩ তারিখ একটি ক্যাবল কার দুর্ঘটনায় মারা যায় ছয় বছর বয়সী এইতান বিরানের বাবা-মা, ভাই এবং দাদা-দাদীসহ ১৪ জন। এরপর আপন চাচীর জিম্মায় এইতানকে সোপর্দ করেছিল ইতালির আদালত। কিন্তু বাধ সাজলেন তার নানা!
সেপ্টেম্বরে এইতানকে নিয়ে নানা শ্মুলিক পেলেগ উড়াল দেন ইসরায়েলে। জানা গেছে, সে যাত্রায় সম্মতি ছিল না ইতানের। যদিও বা তিনি বলছে, তিনি ভুল কিছু করেননি, যা করেছেন নাতির বৃহত্তর ভালোর জন্যই করেছেন। কিন্তু পেলেগের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট ছিল না ইসরায়েলের পুলিশ বা ইতালির আদালত। গত মাসে ইসরায়েলের আদালত রুল জারি করে, চাচীর জিম্মা থেকে এভাবে ‘ছিনিয়ে’ আনাটা ‘বেআইনী’! যদিও এর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন পেলেগ।
১৩ সেপ্টেম্বরের সে যাত্রায় নানা সুইজারল্যান্ড হয়ে প্রাইভেট জেটে করে নাতিকে নিয়ে তেল আবিবে পৌঁছান। ইমিগ্রেশনে দেখানো হয় এইতানের ইসরায়েলি পাসপোর্ট।
উল্লেখ্য, এইতানের চাচী আয়া বিরান-নিরকো পেশায় একজন চিকিৎসক। জন্ম ইসরায়েলে হলেও বাস করছেন ইতালির পাভিয়া শহরে। সেই পাভিয়ারই এক আইনজীবী বুধবার ইতালির আদালতে শ্মুলিক পেলেগের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনেন। তারই প্রেক্ষিতে এলো গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত। সূত্র: বিবিসি
Leave a reply