
গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার পর শরীয়তপুরে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে মজুদ সমীক্ষা কার্যক্রম। এজন্য চলছে কূপ খনন। মজুদ নিশ্চিত হলেই উত্তোলনের কাজ করবে বাপেক্স। চলতি বছরই খুলে দেয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক পথ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হলে পাল্টে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট।
দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে শরীয়তপুরের নড়িয়ার দিনার গ্রামে সন্ধান মেলে প্রাকৃতিক গ্যাসের। মজুদের পরিমাণ জানতে এখন শুরু হয়েছে কূপ খনন কার্যক্রম।
জমির হুকুম দখল বুঝে নেয়ার পর পুরোদমে চলছে ভূমি উন্নয়ন কাজ। ভারি যন্ত্রপাতি আনা-নেয়ার জন্য নির্মাণ হচ্ছে সড়ক-কালভার্ট। উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ মিলবে এমন প্রত্যাশায় নতুন স্বপ্ন দেখছেন এলাকার মানুষ। তাই জমি হারালেও ক্ষোভ নেই সাধারণ মানুষের। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেয়া হচ্ছে দুই বছরের ফসলের ক্ষতিপূরণ। তবে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ না মিললে কী হবে এই জমির তা ভাবাচ্ছে চাষিদের।
কূপ খননের পরই ধারণা পাওয়া যাবে মজুদ সম্পর্কে। বাপেক্সের ফিল্ড সুপারভাইজার ডালিম ইসলাম জানালেন, গ্যাসের পরিমাণ নিশ্চিত হতে নতুন আরও কূপ খনন করতে হতে পারে।
আর গ্যাস পাওয়া গেলে এ অঞ্চলের দারিদ্র্য ঘুচে অর্থনীতির নতুন দুয়ার খুলবে বলে আশা প্রকাশ করছেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।
প্রসঙ্গত, দেড় বছর মেয়াদী শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা।
/এডব্লিউ



Leave a reply