কাতারে ফিরছে জিদানের ‘ঢুস’

|

ছবি: সংগৃহীত

২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে বর্ণবাদী মন্তব্য করায় ইতালির মার্কো মাতোরাজ্জির বুকে মাথা দিয়ে ঢুস মেরেছিলেন ফরাসি ফুটবল কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান। চ্যাম্পিয়ন কে হয়েছে তা ছাপিয়েও যেন সেই রাত তো বটেই, বিশ্বকাপেরই মূল আলোচনা ছিল জিদানের সেই কাণ্ড। সেই মুহূর্তকে স্মরণ করে দোহায় এর আগে ভাস্কর্য স্থাপিত হলেও স্থানীয় মানুষের প্রতিবাদে তা সরিয়ে ফেলা হয়। এবার কাতার বিশ্বকাপে সেই ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে।

জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০০৬ বিশ্বকাপের কথা মনে পড়লেই ফুটবল ভক্তদের চোখে প্রথমেই যেন ভেসে ওঠে মাতেরাজ্জির বুকে জিদানের সেই কুখ্যাত ঢুস। লাল কার্ড খেয়ে সেই ম্যাচে মাঠ ছাড়তে হয় ফরাসি প্লেমেকার জিনেদিন জিদানকে। বিশ্বকাপ ট্রফির পাশ দিয়ে জিদানের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার দৃশ্যটি সৃষ্টি করেছিল আইকনিক মুহূর্তের, বেদনারও। মহানায়ক হওয়ার প্রেক্ষিত তৈরি করে মুহূর্তের ভুলে জিদানের খলনায়কে পরিণত হওয়া ফুটবল উপাখ্যানেই জায়গা করে নিয়েছে।

বার্লিনের সেই মুহূর্তের স্মৃতি ধরে রেখে ২০১৩ সালে দোহায় সমুদ্রপাড়ে জিদানের ঢুস মারার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় মানুষেরা ভাস্কর্যটিকে ইসলাম পরিপন্থি বলে আখ্যা দেয়। ফলে জিদানের ভাস্কর্য সেখান থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এবার কাতার বিশ্বকাপে সেই মুহূর্তকে মনে করে আবারো স্থাপন করা হচ্ছে জিদান ও মাতোরাজ্জির ব্রোঞ্জ নির্মিত ১৬ ফুটের এই ভাস্কর্য। তবে এবার আর পূর্বের স্থানে নয়, ভাস্কর্যটির জায়গা হবে দোহার আন্তর্জাতিক স্পোর্টস জাদুঘরে। কাতার বিশ্বকাপ শুরুর সময় ভাস্কর্যটি স্থাপন সম্পন্ন করা হবে বলে জানায় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।

কাতারের জাদুঘর প্রধান শেখ আল মায়াসা বলেন, এখানে সংস্কৃতির বিপক্ষে কিছু ছিল না। মনে হয়েছিল এটি সঠিক অবস্থানে স্থাপিত হয়নি। জিদান হল কাতারের বন্ধু। আরব বিশ্বে তিনি একজন রোল মডেল। আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই, শিল্প জীবনেরই অংশ। এর নিজস্ব জায়গা আছে। জিদানের ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা তুলে ধরতে চাই যে, বড় টুর্নামেন্টের সময় ক্রীড়াবিদদের ওপর চাপ ও মানসিক সমস্যাগুলো মোকাবেলায় গুরুত্ব দেয়া দরকার।

আরও পড়ুন: হ্যারি কেইনের শেষ মুহূর্তের গোলে জয়বঞ্চিত জার্মানি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply