আষাঢ়-শ্রাবণের ভরা বর্ষার মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। তাই এই অতি খরায় পাট জাগ দেয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তা কাটছে না চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের। ফলন ভালো হলেও শেষ মুহূর্তে এসে পর্যাপ্ত পানির অভাবে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের পাট চাষিরা। তাই মাঠের পাট মাঠেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। যদিও বৃষ্টিহীন এ সময়ে কৃষকদের কম ব্যয়ে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
এবার চুয়াডাঙ্গায় ২২ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, জেলায় পাটের ফলন এবার ভালো। খরচও ছিল সাধ্যের মধ্যেই। অথচ শেষ মুহূর্তে সেচ দিতে খরচ বেড়েছে তিনগুণ। তবুও শেষ রক্ষা নিয়ে সংশয় কাটছে না তাদের। লোকসানের কবলে পড়ে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পাট চাষ থেকে।
এদিকে, বৃষ্টিহীন এমন বিপর্যয়ে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট জাগ দিতে কৃষকদের উৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ। চাষীদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা।
এসজেড/
Leave a reply