দেশের ফুটবলের সোনালী দিনের জৌলুস হারিয়েছে অনেক দিন। তবুও মাঝেমধ্যে ‘ঢাকা ডার্বি’ কিছুটা আলোচনার জন্ম দেয়, দর্শকের মনে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। সেই ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে ১-০ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছে মোহামেডান। এই জয়ে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকলো আবাহনী।
দেড় বছর আগে কুমিল্লার ধীরেন্দনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে মোহনীয় এক ম্যাচ প্রত্যক্ষ করেছিল ফুটবলপ্রেমিরা। ৪-৪ গোলের ড্র শেষে টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে সেবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল মোহামেডান।
স্মরণীয় সেই জয়ের পর আজ সোমবার (৭ জানুয়ারি) একই স্টেডিয়ামে একই টুর্নামেন্টে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা নিতে হলো আলফাজের দলকে। আজ আবাহনীর কাছে হেরে ফেডারেশন কাপ থেকে যেন বিদায়ের ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছে সাদাকালোরা। এর আগে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে হেরে গিয়েছিল তারা।
‘বি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে ১-০ গোলে হেরেছে মোহামেডান। আকাশী-নীলদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আবাহনীর শিবিরে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। এবারের মৌসুমে বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই খেলছে দলটি। কেবল স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে দলকে বেশ এগিয়ে নিয়েছেন কোচ মারুফুল হক। তাই নিয়ে চমক দেখাচ্ছে আকাশী-নীলরা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও শিরোপা লড়াইয়ে রয়েছে দলটি। ফেডারেশন কাপেও পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার পথে।
স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে ম্যাচে এদিন কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলে আবাহনী। তাতে সময়মতো সাফল্যও পায় তারা। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে এমনই এক পাল্টা আক্রমণে দৌড়ে বক্সে ঢুকে ডান দিক থেকে ইব্রাহিমের উদ্দেশে পাস দেন শাহরিয়ার ইমন। সেই পাস থেকে নিখুঁত ট্যাপ-ইনে বল জালে পাঠান জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ফরোয়ার্ড। সেই ম্যাচ নির্ধারণী গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট আবাহনীর। দুই ম্যাচে দুই জয় রহমতগঞ্জেরও। যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে তারা। অন্যদিকে, তিন ম্যাচে কেবল একটি জয় মোহামেডানের।
/এএম
Leave a reply