বিবাহিত কন্যারাও মৃত সরকারি কর্মচারীর কোটায় চাকরি পাবেন: পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট

|

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এক যুগান্তকারী রায়ে ঘোষণা দিয়েছে যে বিবাহিত কন্যারাও মৃত সরকারি কর্মচারীর কোটায় চাকরি পাবে। এই রায়ের মাধ্যমে বিবাহিত নারীদের এমন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার পূর্ববর্তী বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাদ্ধম গালফ নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাইবার পাখতুনখোয়ার করাক জেলার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তার বাবার মৃত্যুর পর সরকারি কোটায় চাকরি পেলেও, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার একটি চিঠির ভিত্তিতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল যে, বিবাহিত কন্যারা মৃত কর্মচারীর কোটায় চাকরি পাওয়ার অধিকার রাখেন না।

এরপরই পাকিস্তানজুড়ে বিষয়টি নিয়ে চলে বিতর্ক। নারীদের অধিকারের প্রশ্নে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট আপত্তি জানায়। আজ মৃত সরকারি কর্মচারীর কোটায় বিবাহিত কন্যারা চাকরি পাবেন কি না, সে বিষয়ে রায় দেন জাস্টিস মানসুর আলী শাহ ও জাস্টিস আতহার মিনাল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ।

রায়ে বলা হয়েছে, একজন নারীর ব্যক্তিত্ব, আইনি অধিকার তার বৈবাহিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করবে না।

আদালতের মতে, এমন নীতি যেখানে বিবাহিত ছেলেরা সুবিধা পায়, অথচ বিবাহিত নারীদের বাদ দেয়া সংবিধানবিরোধী ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য।

এই রায়কে পাকিস্তানে নারী অধিকারের জন্য একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সরকারকে দ্রুত এই নীতিমালা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।

এই রায়ের পর এখন থেকে বিবাহিত কন্যারা মৃত পিতা-মাতার কোটায় চাকরির জন্য সমানভাবে আবেদন করতে পারবেন, যা নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply