অবহেলিত মাছের আঁশ, রয়েছে সম্ভাবনা

|

মাছে ভাতে বাঙ্গালীর কাছে মাছ খুব পছন্দের হলেও, আঁশে খুব একটা গুরুত্ব নেই। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবার মাছের আঁশও হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। ফেলে দেয়া আঁশ দিয়ে বছরে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। পুরো দেশের শত শত টন মাছের আঁশ রফতানি হচ্ছে চীন, জাপান এবং ইন্দোনেশিয়ায়। যা দিয়ে তৈরি হচ্ছে চুমকি ও ক্যাপসুলের খোল।

আঁশ ছাড়ানোর পর তা পড়ে থাকে বাজারেই। সময়মতো সুইপার এসে তা সংগ্রহ করে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউ মার্কেট কিংবা হাতিরপুল বাজার থেকে সংগ্রহ করা মাছের আঁশগুলো নিয়ে যাওয়া হয় মোহাম্মদপুরের একটি ফ্যাক্টরিতে। ফ্যাক্টিরতে আনার পর দুই দফা ধোয়া হয় মাছের আঁশগুলোকে। প্রথম দফা ধোয়ার পর শুকানো হয় রোদে।

প্রথম দফা শুকানোর পর শুরু হয় দ্বিতীয় দফা ধোয়ার কাজ। ধোয়ার পর আঁশগুলোকে শুকাতে দেয়া হয় ছাদে। টানা তিন ঘণ্টা চলে শুকানোর প্রক্রিয়া।

দ্বিতীয় দফা শুকানোর পর আবারও চলে বাছাই প্রক্রিয়া। সাথে চলে শুকানো। বদ্ধ রুমে দুই ঘণ্টা ধরে শুকানোর পর চলে বাছাই প্রক্রিয়া। লাল আঁশ থেকে পৃথক করা হয় সাদা আশ। প্রতিদিন প্রায় তিনশ কেজি মাছের আঁশ প্রক্রিয়া জাত করা হয় কারখানায়।

চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর আবারও রোদে দেয়া হয় মাছের সাদা আঁশগুলো। শ্রমিকরা জানান যতোক্ষণ পর্যন্ত সূর্যের আলোতে মাছের আঁশ দেখতে মুক্তার মতো না হয় ততোক্ষণ চলে এই শুকানোর প্রক্রিয়া।

মোট পাঁচ দফা ধোয়া এবং তিন দফা শুকানোর পর মাছের আঁশ গুলো প্রস্তুত হয় রফতানির জন্য। প্যাকেটিং শেষে চলে যায় চীন, জাপান ও ইন্দোনেশিয়ায়। রফতানিকারকরা জানান, বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া মাছের আঁশগুলো মূলত ব্যবহার করা হয় ক্যাপসুলের খোল তৈরিতে।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply