অবশেষে স্বস্তির আভাস দিচ্ছে চাল। বাজারে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর খানিকটা পরিতৃপ্তি দিচ্ছে বোরোর বাম্পার আবাদ। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে কমেছে অন্তত ৪-৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব অঞ্চলে একসাথে যোগান বাড়ায় ধানের দাম কমেছে।
কোমর বেঁধে ধান কাটছেন কৃষক। গায়ে রোদ, পায়ে কাদা—তবু মুখে প্রশান্তি। কারণ, মাঠভরা সোনালি ফসল এবার সময়মতো ঘরে তোলা যাচ্ছে। দেশের প্রধান খাদ্যশস্য বোরো ধান এখন কাটার মৌসুমে। কৃষি দপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য ২ কোটি ১০ লাখ টন।
ধানের বাম্পার আবাদের প্রভাব খুচরা ও পাইকারি বাজারে স্পষ্ট। মাসের শুরু, তাই ক্রেতাদের ভিড় একটু বেশি। নতুন চাল বাছাই করে কিনছেন অনেকে। জানা গেলো, গত এক সপ্তাহে চালের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ৮০ টাকার আশপাশে মিলছে নাজিরশাইল ও কাটারি। ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় মিলবে মিনিকেট। মোটা স্বর্ণা চালের কেজি ৫৫ টাকার মত। বিক্রেতারা বলছেন, সামনে এই দাম আরও কমবে।
রাইস মিলগুলোতে এখন দিন-রাত মাড়াইয়ের ব্যস্ততা। প্রতিদিনই ট্রাকে আসছে নতুন ধান। সব জেলা থেকে একসাথে যোগান বাড়ায় আগের মজুদ কম দামে ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে। কিছুদিন আগেও যেখানে মানভেদে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছিল ২ হাজার টাকায়, এখন তা নেমে এসেছে দেড় হাজার টাকার আশপাশে। অর্থাৎ গত দুই সপ্তাহে ধানের পাইকারি দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
চলতি বোরো মৌসুমে ৩৬ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান কিনবে সরকার। আর ৪৯ টাকা দরে কেনা হবে ১৪ লাখ টন সিদ্ধ চাল।
/এটিএম
Leave a reply