কেশবপুরে চেয়ারম্যানকে আ. লীগের দোসর আখ্যা, কক্ষে তালা দিলো বিএনপির নেতাকর্মীরা

|

কেশবপুরের ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষের তালা হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হচ্ছে।

যশোর করেসপনডেন্ট:

যশোরের কেশবপুরের ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইউপি চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এছাড়া, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমানের অপসারণের দাবিতে তারা বিক্ষোভ-ও করেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীরা এ কাজ করেছে।

জানা গেছে, এস এম আনিছুর রহমান আওয়ামী লীগের সমর্থক। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হন। আগেরবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও তিনি স্বাভাবিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। তবে শনিবার সকালে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদে এসে ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

এরপর তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষের নামফলক ও তালা ভেঙে ফেলে একটি নতুন তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামছুল আলম বুলবুল, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুর রহমান অন্তুসহ অনেকে।

ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিসহ চাবি হস্তান্তর করা হবে। আমরা চাই আওয়ামী লীগের দোসর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আর না থাকুক, এখানে প্রশাসক নিয়োগ হোক।

চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমান বলেন, শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ ছিল। এ সুযোগে বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীরা পরিষদে এসে আমার নামীয় সাইনবোর্ড ও কক্ষের তালা ভেঙে ফেলেছে। মূলত আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা এ কাজটি করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষের তালা ভেঙে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার সময় ইউপি চেয়ারম্যানের কোনও লোকজন সেখানে ছিল না। পরিবেশ শান্ত রয়েছে।

বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, এ কথা বলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেকসোনা খাতুন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply