
২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছে। শনিবার (২১ জুন) পাকিস্তান সরকারের সামাজিক মাধ্যম অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এক বিবৃতিতে এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের।
এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংকটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব প্রদর্শনের স্বীকৃতি স্বরূপ এই প্রস্তাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Government of Pakistan Recommends President Donald J. Trump for 2026 Nobel Peace Prize
— Government of Pakistan (@GovtofPakistan) June 20, 2025
The Government of Pakistan has decided to formally recommend President Donald J. Trump for the 2026 Nobel Peace Prize, in recognition of his decisive diplomatic intervention and pivotal…
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দুটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মধ্যে অত্যন্ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হিসাবে বর্ণিত উত্তেজনা হ্রাস করতে সাহায্য করেছে। সম্ভাব্যভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ রোধ করেছে যা লক্ষ লক্ষ জীবনকে বিপন্ন করতে পারতো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লি উভয়ের সঙ্গে জড়িত হয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুর্দান্ত কৌশলগত দূরদর্শিতা এবং দুর্দান্ত রাষ্ট্রনায়কত্ব প্রদর্শন করেছেন। তার প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় যা একটি বিপর্যয়কর সংঘাত এড়ায়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেয়ার আহ্বান পাক সেনাপ্রধানের
পাকিস্তান সরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আন্তরিক উদ্যোগকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেয় কেননা বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী জম্মু-কাশ্মীর বিরোধ মীমাংসায় তার সহায়তার প্রস্তাবকে। এই সংকটই অঞ্চলিক অস্থিরতার মূল উৎস, এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।
২০২৫ সালের ভারত-পাকিস্তান সংকটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব তার বাস্তববাদী কূটনীতির ধারাবাহিকতা এবং কার্যকর শান্তি-প্রচেষ্টার প্রতিচ্ছবি। পাকিস্তান আশাবাদী যে, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং ইরানকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা উত্তেজনাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংকটে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় অব্যাহত অবদান রাখবে।
এর আগে, ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার দেয়ার আহ্বান জানান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসীম মুনির। অন্যদিকে রোববার (১৫ জুন) সকালে ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লেখেন, ইরান ও ইসরায়েলের একটি চুক্তি করা উচিত, এবং চুক্তিটি হবে। যেমনটা আমি ভারত ও পাকিস্তানকে করিয়েছিলাম।
শেষে ট্রাম্প আরও লেখেন, আমি অনেক কিছু করি, কিন্তু কখনো কাজের কৃতিত্ব পাই না—তবে ঠিক আছে, জনগণ বোঝে।
/এসআইএন



Leave a reply