যমুনা টেলিভিশনের সাথে আলাপচারিতায় স্পিন কোচ মমিনল হক।
রশিদ-মুজিব-নবির গতির সাথে স্পিন বৈচিত্র্যই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে শান্ত-সাকিবদের, বলে মন্তব্য করেছেন স্পিন কোচ মুমিনুল হক। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোয়ালিটি স্পিনারের অভাবই ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার কারণ বলেও দাবি তার।

সোমবার (১০ জুলাই) এক সাক্ষাৎকারে যমুনা টেলিভিশনের ক্রীড়া সাংবাদিক তাহমিদ অমিতের করা ‘বাংলাদেশের ব্যাটাররা আফগান স্পিনারদের কেন খেলতে পারছে না?’ প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ক্রিকেট বিশ্বে আফগানদের স্পিনারদের দাপট সবার জানা। এজন্য, বিশ্বের বিভিন্ন ফ্রাঞ্জাইজি লিগে এখন নিয়মিত মুখ আফগানিস্তানের রশিদ খান- মুজিব আর মোহাম্মদ নবী। আর, এবারের সিরিজ এই জুজুতেই যেন ধরেছে টাইগার ব্যাটাররা। উইকেট স্পিন সহায়ক না হয়েও এই তিন স্পিনার দাপট দেখাচ্ছেন। এই স্পিনাররা বড় টার্ন না পেলেও তাদের দ্রুত গতির ছোট ছোট টার্নই রীতিমত বিপদে ফেলে দিচ্ছে শান্ত-নাঈমদের।
ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত স্পিন কোচ মুমিনুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, কোন জায়গায় আফগান স্পিনাররা এগিয়ে? উত্তরে তিনি বলেন, আফগানদের তিন প্রধান স্পিনার তিন ধরনের। মুজিব-রশিদকে বোঝা আসলেই কঠিন।

অথচ, একটা সময় মোহাম্মদ রফিক বা বাঁ হাতি স্পিনারদের দাপট ছিলো বাংলাদেশে। একটা সময়, কাকে ছেড়ে কাকে খেলাবেন কোচ- এই নিয়েই থাকতে হতো চিন্তায়। সেই দেশে কোয়ালিটি স্পিনের বিপক্ষেই পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে ব্যাটারদের! তবে কি ব্যাটাররা ঠিকমত তৈরী হতে পারছেন না?

এ প্রশ্নের উত্তরে স্পিন কোচ মুমিনুল হক বলেন, একসাথে তিনটা কোয়ালিটি স্পিনার পাওয়া বেশ কঠিন। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে এরকম ভেরিয়েশনের বোলাররা সবসময়ই খেলছে। আমাদের বোলাররা সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে। বিদেশি লিগ না খেলার কারণে আমাদের দেশে ওরকম স্পিনারও তৈরি হচ্ছে না।

মুমিনুল হকের বিশ্বাস, আর কয়েকটা ম্যাচ খেললেই রশিদ খানদের কীভাবে খেলতে হবে তা বুঝে যাবেন টাইগাররা। ভেতরে ঢোকা বলে সামনের পায়ে বাড়তি জায়গা নিয়ে খেলার পরামর্শও দিয়ে রাখলেন এ কোচ।
/এসএইচ
Leave a reply