বাবর-রিজওয়ানকে কাঠগড়ায় তুলতে নারাজ সাকলায়েন

|

ছবি: সংগৃহীত

বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপর এখনই আস্থা হারাচ্ছেন না পাকিস্তানের হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক। শ্রীলঙ্কার কাছে ফাইনালে হারের পর বাবর আজমের অফ ফর্মের দিকে খুব বেশি আঙুল না উঠলেও মন্থর ব্যাটিং করে অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকের কাঠগড়ায়ই উঠেছেন রিজওয়ান। তবে দুসরার প্রবর্তক সাকলায়েন কৃতিত্ব দিতে চান লঙ্কানদের। সেই সাথে, ফাইনালে উঠতে পারাকেও বড় অর্জন হিসেবে দেখতে চান তিনি।

এশিয়া কাপে ফাইনালের আগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত কোনো ম্যাচেই টস হেরে ম্যাচ জিততে পারেনি কোনো দল। আর ৫৮ রানের ৫ উইকেট হারানোর পর টসের প্রতিকূলতাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। হারিয়েছে বিপক্ষে যাওয়া সকল সমীকরণকেও। সংবাদ সম্মেলনে সাকলায়েন মুশতাক বলেন, আপনি চ্যাম্পিয়ন টিম হলে প্রথমে ব্যাট করলেও চ্যাম্পিয়ন, পরে ব্যাট করলেও চ্যাম্পিয়ন। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা টস জিতে আমাদের ব্যাট করতে পাঠালো, আর ম্যাচ জিতলো। ফাইনালে তারা টস হেরে আগে ব্যাট করলো। সেখানেও তারাই জিতলো। যেভাবে দুই ম্যাচেই তারা আমাদের পেছনে ফেলেছে, তা অবিস্মরণীয়।

স্কোরবোর্ড বলবে, শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ইনিংসের সর্বোচ্চ দুই স্কোরারের নাম মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ। কিন্তু ম্যাচের গতিপ্রকৃতি খেয়াল রাখলে বুঝতে অসুবিধা হয় না, এই দুজনের প্রায় বলপ্রতি রানের দুইটি ইনিংসেই যেন লেখা হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের পরাজয়ের ঘোষণা। ইফতিখার করেন ৩১ বলে ৩২ রান। আর রিজওয়ান ১৭তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৪৯ বল খেলে করেছেন ৫৫ রান। রিজওয়ানের আউটের সময় পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪ ওভারে ৬১ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। ব্যাটিং অর্ডারের পরে যারা আছেন, তারা হার্ড হিটার। তবে এই হার্ড হিটারদের ওপর ওভারপ্রতি ১৬ রানের পাহাড়সম বোঝা চাপিয়ে গেছেন রিজওয়ান, যে চাপে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে সকল হার্ড হিটার। রিজওয়ান, আসিফ আলি ও খুশদিল শাহ- এই তিন ব্যাটারই আউট হয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে, একই ওভারে।

মূলত রিজওয়ান ও ইফতিখারের ব্যাটিংয়ের পর আস্কিং রান রেট যে জায়গায় চলে গিয়েছিল, আসিফ-খুশদিলদের ক্রিজে গিয়েই স্লগ করা ছাড়া ছিল না আর কোনো উপায়। সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতারও সমালোচনা করেছেন রিজওয়ানের অমন ব্যাটিংয়ের। টুইটে বলেছেন, ৫০ বলে ৫০ রানের ইনিংস দলের কোনো কাজেই লাগে না।

তবে কোচকে এ অবস্থাতেও পাশে পাচ্ছেন রিজওয়ান। সাকলায়েন মুশতাক বলেন, প্রতিটি দল এবং খেলোয়াড়েরই খেলার ধরন আলাদা। যেভাবে আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের গিয়েছি, যেভাবে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছি তাতে প্রমাণিত হয়, আমাদের অনেক কিছুই ঠিকঠাক আছে। পুরো বিশ্ব কী করছে, সেদিকে মনোযোগ দেয়ার চাইতে আমি মনোযোগ দিতে চাই সেইসব ছোট দিকে, যা আমরা ঠিক করতে পারছি না। রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ের ধরন খারাপ নয়।

এরপর সাংবাদিকরা সাকলায়েন মুশতাককে প্রশ্ন করেন বাবর আজমের ব্যাডপ্যাচ সম্পর্কে। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান কোচ অনেকটাই সেই সুরে কথা বললেন, যেমনটি কিছুদিন আগেও রোহিত শর্মা বা রাহুল দ্রাবিড় বলতেন ভিরাট কোহলিকে নিয়ে। সাকলায়েন বলেন, কেউ যদি বাবরের ব্যাটিং দেখে তো বুঝতে পারবে, সে ভাগ্যের সহায়তা পায়নি। সে এখনও টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের অন্যতম সেরা ব্যাটার। যেভাবে আউট হয়েছে তা সম্পূর্ণই দুর্ভাগ্যজনক। বাবর যেভাবে অনুশীলন করে, যেভাবে খেলে তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই।

আরও পড়ুন: প্রশ্ন শুনে ক্ষিপ্ত রমিজ রাজা, কেড়ে নেন ভারতীয় সংবাদকর্মীর ফোন!

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply