আহমেদ রেজা:
ডা. তাসনিম জারা, করোনাকালীন ভ্যাকসিন নিয়ে সচেতনতায় একের পর এক কন্টেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। তবে ৫ আগস্টের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্ত হয়েছেন রাজনীতিতে। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি?
এ বিষয়ে যমুনা টেলিভিশনের সাথে কথা বলেছেন ড. তাসনিম জারা। তিনি জানান, ডাক্তার হিসেবে আমি শুধু আমার রোগীদের সেবা দিতে পারবো। তবে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। আমার ইচ্ছা বাংলাদেশের মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা পাবে। মন্ত্রী বা কৃষক এজন্য তার চিকিৎসায় কোনো পার্থক্য হবে না। রোগী হোক না কেন রোগ এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসাসেবা পাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে জাতীয় নাগরিক কমিটি। প্রস্তাবনার সুপারিশগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে তিনি জানান, অ্যাম্বুলেন্স এখন শুধু একটি ট্রান্সপোর্টের মতো। তবে দক্ষ প্যারামেডিক থাকলে তারা অ্যাম্বুলেন্সেই জীবন বাচানোর মতো কিছু চিকিৎসাসেবা সেখানেই দেয়া সম্ভব।
প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উন্নত করা যায় এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের জন্য আলাদা হেলথ রেকর্ড থাকবে সেখান তার জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত যা যা শারিরীক সমস্যা দেখা দিয়েছে তা রেকর্ড থাকবে। স্বাস্থ্যসেবীদের অধিকারকেও প্রস্তাবনায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডা. তাসনিম জানালেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে নতুন রাজনৈতিক দল করা হচ্ছে। যেখানে দেশের সাধারণ মানুষের চাহিদার মূল্যায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে, দলের নাম ও মার্কা নির্ধারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশ কিছু উপায়ে জনতার মতামত নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে কাজ করছেন ডা. তাসনিম জারা। সেখানে ক্লাসও নেন তিনি। তার বিশ্বাস, আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। তবে সেই এগিয়ে যাওয়ায় সব প্রজন্মের মানুষের সমর্থন থাকতে হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
/এএস
Leave a reply